রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী AtoZ সহ সকল
প্রশ্ন সমাধান
পিডিএফ ডাউনলোড
v রবীন্দ্রনাথ-ঠাকুরঃ
জন্ম:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলায় ২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮
এবং ইংরেজিতে 7
মে 1861 সালে জজন্মমগ্রহ করেন।ণ
মিত্যুবরণ:-রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর বাংলায় ২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ এবং ইংরেজিতে ৭ই আগস্ট, ১৯৪১ মারা যান।
v রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুরের সাহিত্য কর্মঃ
তিনি
একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, কণ্ঠশিল্পী, প্রাবন্ধিক, সংগীতস্রষ্টা, চিত্রশিল্পী,
গল্পকার,অভিনেতা ও দার্শনিক।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৩টি উপন্যাস, ৯৫টি ছোটগল্প, ৩৬টি প্রবন্ধ
ও গদ্যগ্রন্থ এবং ৩৮টি নাটক রচনা করেছিলেন
v রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর সম্পর্কেঃ
জন্মঃ
১৮৬১খ্রিস্টাব্দের ৭মে (২৫বৈশাখ ১২৬৮), কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে। তাকে ছোট
গল্পের জনক বলা হয়। ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় তাঁকে “বিশ্বকবি ” উপাধি দেন। ব্রিটিশ সরকার
১৯১৫ সালের ৩ জুন রবি ঠাকুরিকে নাইটহুড বা স্যার উপাধি দেন। তবে জালিওয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের
প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি ১৯১৯ সালে এই উপাধি বর্জন করেন। তিনি ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৭ আগস্ট
(২২শ্রাবণ ১৩৪৮) সালে মৃত্যু বরন করেন। ১৯০১ সালে বোলপুরের শান্তি নিকেতন ‘ব্রহ্মচর্যাশ্রম’
নামক বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠা করেন যা ১৯২১ সালে ‘বিশ্বভারতী’ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়।
১৯১৩ সালের নবেম্বর মাসে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। একই বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে
ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। ১৯১৫ সালে তদানীন্ত ভারত সরকার তাকে ‘স্যার বা নাইট’ উপাধি
প্রদান করে। ১৯১৯ সালে তিনি নাইট উপাধি ত্যাগ করেন।১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং
১৯৪০ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। রবীন্দ্রনাথ মোট
(১২ + ১ টি অসমাপ্ত) টি উপন্যাস রচনা করেন উপন্যাস গুলো হলো- করুণা (অসমাপ্ত), বেৌ
ঠাকুরাণীর হাট (প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস), রাজর্ষি, শেষের কবিতা, ঘরে বাইরে, চার অধ্যায়,
গোরা, চোখের বালি (বাংলা সাহিত্যে প্রথম মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস), নেৌকাডুবি, যোগাযোগ,
মালঞ্চ, দুইবোন, চতুরঙ্গ। তার উল্লেখযোগ্য নাটক রুদ্রচন্ড, বাল্মীকি প্রতিভা (প্রথম
প্রকাশিত নাটক), বসন্ত (নাটকটি তিনি নজরুলকে উৎসর্গ করেন), কালের যাত্রা, তাসের দেশ,
শ্যামা, ডাকঘর, বিসর্জন, রাজ এবং রানী, রাজা, চিত্রাঙ্গদা, অচলায়তন, তাপসী, মুক্ত ধারা,
অরুপরতন, নটির পূজা, রক্তকরবী, মালিনী। তার উল্লেখযোগ্য ছোট গল্প হচ্ছে ভিখারিণী (প্রথম
প্রকাশিত ছোটগল্প), সমাপ্তি, ক্ষুদিত পাষাণ, মনিহার, অতিথি। রবীন্দ্রনাথের মোট কাব্যগ্রন্থ
৫৬ টি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কবি-কাহিনী (প্রথম কাব্যগ্রন্থ), বনফুল, বলাকা,
নবজাতক, শেষলেখা। হিন্দু মেলার উপহার রবীন্দ্রনাথের প্রথম কবিতা। রবীন্দ্রনাথের উল্লেখযোগ্য
প্রবন্ধ হচেছ ভ্রমণকাহিনী, য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র, জাভা যাত্রীর পত্র, জাপান যাত্রী,
রাশিয়ার চিঠি, বাংলা ভাষার পরিচয়, শব্দতত্ত্ব, সভ্যতার সংকট, কালান্তর, স্বদেশ। রবীন্দ্রনাথের
আত্নজীবনী হলো আমার ছেলে বেলা, জীবনস্মৃতি।
v রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য কর্মের নামঃ
Ø রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস
Ø বৌ-ঠাকুরাণীর হাট(১৮৮৩),
Ø রাজর্ষি (১৮৮৭),
Ø চোখের বালি (১৯০৩),
Ø নৌকাডুবি (১৯০৬),
Ø প্রজাপতির নির্বন্ধ (১৯০৮),
Ø গোরা (১৯১০),
Ø ঘরে বাইরে (১৯১৬),
Ø চতুরঙ্গ (১৯১৬),
Ø যোগাযোগ (১৯২৯),
Ø শেষের কবিতা (১৯২৯),
Ø দুই বোন (১৯৩৩),
Ø মালঞ্চ (১৯৩৪) ও
Ø চার অধ্যায় (১৯৩৪)।
বৌ-ঠাকুরাণীর
হাট ও রাজর্ষি ঐতিহাসিক
v রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্পঃ
Ø ঘাটের কথা
Ø রাজপথের কথা
Ø দেনা পাওনা
Ø পোস্টমাস্টার
Ø গিন্নি
Ø সুভা
Ø ব্যবধান
Ø তারাপ্রসন্নের কীর্তি–
Ø খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন
Ø সম্পত্তি-সমর্পণ
Ø দালিয়া
Ø কঙ্কাল
Ø মুক্তির উপায়
Ø ত্যাগ
Ø একরাত্রি
Ø একটা আষাঢ়ে গল্প
Ø জীবিত ও মৃত
Ø স্বর্নমৃগ
Ø রীতিমত নভেল
Ø জয়পরাজয়
Ø কাবুলিওয়ালা
Ø মহামায়া
Ø রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা
Ø ঠাকুরদা
Ø দানপ্রতিদান
Ø সম্পাদক
Ø মধ্যবর্তনী
Ø অসম্ভব কথা
Ø শাস্তি–
Ø একটি ক্ষুদ্র পুরাতন গল্প
Ø সমাপ্তি
Ø সমস্যাপূরণ
Ø খাতা
Ø অনধিকার প্রবেশ
Ø মেঘ ও রৌদ্র
Ø প্রায়শ্চিত
Ø বিচারক
Ø নিশীথে
Ø আপদ
Ø দিদি
Ø মানবঞ্জন
Ø প্রতিহিংসা
Ø অতিথি
Ø দুরাশা
Ø পুত্রযজ্ঞ
Ø ডিটেকটিভ
Ø অধ্যাপক
Ø রাজটিকা
Ø মনিহারা
Ø দৃষ্টিদান
Ø সদর ও অন্দর
Ø উদ্ধার
Ø ফেল
Ø শুভদৃষ্টি
Ø উলুখরের বিপদ
Ø প্রতিবেশিনী
Ø দর্পহরন
Ø মাল্যদান
Ø কর্মফল
Ø গুপ্তধন
Ø মাষ্টার মশায়
Ø রাসমনির ছেলে
Ø হালদার গোষ্ঠী
Ø হৈমন্তী
Ø বোষ্টমী
Ø স্ত্রীর পত্র
Ø ভাইফোটা
Ø শেষের রাত্রি
Ø অপরিচিতা
Ø তপস্বনী
Ø পাত্র ও পাত্রী
Ø নামঞ্জুর গল্প
Ø সংস্কার
Ø বলাই
Ø চিত্রকর
Ø চোরাই ধন
Ø রবিবার
Ø শেষ কথা
Ø ল্যাবরেটরী
Ø প্রগতিসংহার
Ø শেষ পুরস্কার
Ø পণরক্ষা
Ø ক্ষুধিতপাষাণ
Ø যজ্ঞেশ্বরের যজ্ঞ
Ø দুর্বুদ্ধি
Ø ছুটি
v রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা
Ø সোনার তরী (১৮৯৪)
Ø চিত্রা (১৮৯৬)
Ø চৈতালি (১৮৯৬)
Ø গীতাঞ্জলি (১৯১০)
Ø বলাকা (১৯১৬)
Ø পূরবী (১৯২৫)
Ø পুনশ্চ (১৯৩২)
Ø পত্রপুট (১৯৩৬)
Ø সেঁজুতি (১৯৩৮)
Ø ভগ্ন হৃদয়,
Ø মহুয়া
Ø কল্পনা (১৯০০)
Ø ক্ষণিকা (১৯০০)
Ø বলাকা (১৯১৫)
Ø রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধ সমূহ
Ø কালান্তর
Ø বিবেচনা ও অবিবেচনা
Ø লোকহিত
Ø লড়াইয়ের মূল
Ø কর্তার ইচ্ছায় কর্ম
Ø চরকা
Ø স্বরাজ সাধন
Ø ছোট ও বড়ো
Ø বাতায়নিকের পত্র
Ø শক্তিপূজা
Ø শিক্ষার মিলন
Ø সত্যের আহবান
Ø শূদ্র ধর্ম
Ø রায়তের কথা
Ø বৃহত্তর ভারত
Ø হিন্দু মুসলমান
Ø স্বামী শ্রদ্ধানন্দ
Ø রবীন্দ্রনাথের রাষ্ট্রনৈতিক মত
Ø হিজলী ও চট্টগ্রাম
Ø প্রচলিত দণ্ডবিধি
Ø নারী
Ø কন্গ্রেস
Ø দেশনায়ক
Ø মহাজাতি-সদন
Ø নবযুগ
Ø প্রলয়ের সৃষ্টি
Ø আরোগ্য
Ø সভ্যতার সংকট
v রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী সকল প্রশ্ন উত্তর
১।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় স্থাপিত হচ্ছে ?
উত্তরঃ
সিরাজগঞ্জের শাহাজাদ পুরে। তবে কুষ্টিয়ার কুঠীবাড়িতে ও নওগাঁর পতিসরেও আলাদা ক্যাম্পাস
থাকবে। এটি দেশের ৩৮তম বিশ্ববিদ্যালয়।
২।
প্রশ্নঃ বিবিসির বাংলা বিভাগ পরিচালিত জরিপে (২০০৪) সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায়
রবীন্দ্রনাথের স্থান কততম?
উত্তরঃ
২য় (প্রথম বঙ্গবন্ধু)।
৩।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঢাকায় আসেন কত বার ?
উত্তরঃ
২ বার । প্রথমবার ১৮৯৮ সালে ও দ্বিতীয়বার ১৯২৬ সালে ।
৪।
প্রশ্নঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে কী জানেন?
উত্তরঃক)
কবিগুরু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন ১৯২৬সালে । তিনি ১৯২৬ সালে কার্জন হলে ১ম বক্তৃতা
করেন। বক্তৃতার নাম “The Meaning of Art”. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (১৯২৬ সালে) কার্জন হলে ২য়
বার বক্তৃতা প্রদান করেন। দ্বিতীয় বক্তৃতার নাম ”The Rule of the
Giant”
খ)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৩৬ ডি.লিট উপাধী দেয় ।
ঘ)
আশীর্বাদ কর – তোমার স্মৃতি যেন তরুণ এই মুসলিম হলের অন্তরে চিরদিন রস ও নবনব কর্মপ্রেরণা
সঞ্চার করে এই প্রার্থনাটি করেন ১৯২৬ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্কালীন
মুসলিম বর্তমান সলিমুল্লাহ হলের ছাত্ররা।
ঙ)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের ছাত্রদের অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ একটি গীতিকবিতা রচনা
করেছিলেন। গীতিকবিতার নাম ”বাসন্তিকা” । এই গীতিকবিতার প্রথম পঙক্তি হল – ”এই কথাটি
মনে রেখো /তোমাদের এই হাসি খেলায় / আমি এ গান গেয়েছিলেম/ জীর্ণ পাতা ঝরার বেলায়”।
৫।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কয়টি ছদ্মনাম ছিল?
উত্তরঃ
৯ (নয়টি) টি। ভানুসিংহ ঠাকুর, অকপটচন্দ্র, আ্ন্নাকালী পাকড়াশী; দিকশূন্য ভট্টাচার্য
; নবীন কিশোর শর্মণ; ষষ্ঠীচর দেবশর্মা; বাণীবিনোদ বিদ্যাবিনোদ; শ্রীমতি কনিষ্ঠা , শ্রীমতি
মধ্যমা।
৬।
প্রশ্নঃ কোন বাঙালি প্রথম গ্রামীন ক্ষুদ্রঋণ ও গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করেন
?
উত্তরঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । কবিগুরু এ জন্য তার পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমেরিকার আরবানায়
ইলিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান কৃষি ও পশুপালন বিদ্যায় প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে।
৭।
প্রশ্নঃ ’বঙ্গভঙ্গ বিক্ষোভ’ প্রামান্য চিত্রের পরিচালক কে?
উত্তরঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।
৮।
প্রশ্নঃ ১৮৯২ সালে রবীন্দ্রনাথ কলকাতা থেকে কুষ্টিয়ার শিলাইদহ আসেন এবং একটি কাব্য
রচনা করেন তার নাম কি?
উত্তরঃ
সোনার তরী।
৯।
প্রশ্নঃ লালনের গান কে সর্বপ্রথম সংগ্রহ করেন ?
উত্তরঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (২৯৮টি)।
১০।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথের চৈনিক নাম কি?
উত্তরঃ
চু চেন তান।
১১।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ কে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কবে ডি.লিট উপাধী দেয়?
উত্তরঃ
১৯৪০ সালে।
১২।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কবে ডি.লিট উপাধী দেয়?
উত্তরঃ
১৯১৩ সালে।
১৩।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ নিজের আঁকা ছবিগুলোকে কী বলেছেন?
উত্তরঃ
শেষ বয়সের প্রিয়া ।
১৪।
প্রশ্নঃ আর্জেটিনার কোন মহিলা কবিকে রবীন্দ্রনাথ বিজয়া নাম দেন ?
উত্তরঃ
ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো (তাকে উত্সর্গ করেন পূরবী কাব্য)
১৫।
প্রশ্নঃ ‘’আজি এ প্রভাতে রবির কর, কেমনে পশিল প্রাণের পর ’’ -পঙক্তিটি কার ?
উত্তরঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (নির্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গ)।
১৬।
প্রশ্নঃ শান্তিনিকেতন/ব্রহ্মচর্যাশ্রম কতসালে প্রতিষ্ঠিত করে ?
উত্তরঃ
১৯০১ সালে (কলকাতার অদূরে বোলপুরে)।
১৭।
প্রশ্নঃ হিন্দু-মুসলমানদের মিলনের লক্ষ্যে রবীন্দ্রনাথ কোন উত্সবের সূচনা করেন ?
উত্তরঃ
রাখিবন্ধন ।
১৮।
প্রশ্নঃ ‘’ফ্যাশনটা হলো মুখোশ, স্টাইলটা হলো মুখশ্রী’ উক্তিটি কার ?
উত্তরঃ
রবীন্দ্রনাথের (শেষের কবিতা)।
১৯।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ কাব্যসংকলনের নাম কি?
উত্তরঃ
সঞ্চয়িতা।
২০।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ কাজী নজরুলকে কোন কাব্য উত্সর্গ করেন ?
উত্তরঃ
বসন্ত (গীতিনাট্য )। কাজী নজরুল ইসলাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সঞ্চিতা উত্সর্গ করেন।
২১।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ তাঁর কতটি নাটকে অভিনয় করেন?
উত্তরঃ
১৩ টি।
২২।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথের পরিবারের বংশের নাম কি ছিল ?
উত্তরঃ
পিরালি ব্রাহ্মণ।
২৩।
বরীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পারিবারিক উপাধী কি?
উত্তরঃ
কুশারী।
২৪।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার পিতা-মাতার কত তম সন্তান?
উত্তরঃ
রবীন্দ্রনাথ তাঁর পিতামাতার চতুর্দশ সন্তান এবং অষ্টম পুত্র ।
২৫।
প্রশ্নঃ গীতাঞ্জলি সম্পর্কে কী জানেন?
উত্তরঃ
গীতাঞ্জলি প্রকাশ হয় – ১৯১০ সালে । গীতাঞ্জলি রচনার জন্য কবিগুরু নোবেল পুরস্কার পান
১৯১৩সালে। ইংরেজি অনুদিত “Songs of offerings” নামে প্রকাশিত – ১৯১২সালে। গীতাঞ্জলি‘ র ভূমিকা লেখেন
ইংরেজ কবি ডব্লিউ বি ইয়েটস। গীতাঞ্জলি ১৫৭ টি গানের সংকলন।
২৬।
প্রশ্নঃ ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধাচারণ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত গানের নাম কী?
উত্তরঃ
‘বাংলার মাটি বাংলার জল” ।
২৭।
প্রশ্নঃ কবিগুরুর রচিত “আমার সোনার বাংলা” কোন সুরের অনুকরণে?
উত্তরঃ
কবিগুরু আমার সোনার বাংলা — রচনা করেন গগণ হরকরার সুরের অনুকরণে।
২৮।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম রচনা সম্পর্কে কী জানেন?
উত্তরঃ
ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা প্রথম উপন্যাস- করুণা, ১৮৭৭-৭৮ সালে ।
খ)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ- ‘কবিকাহিনী, ১৮৭৮ সালে।
গ)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত গীতিনাট্য- ‘বাল্মীকি প্রতিভা ১৮৮১ সালে।
ঘ)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা প্রথম গদ্যগ্রন্থ- য়্যুরোপ প্রবাসীর পত্র, ১৮৮২ সালে।
ঙ)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস – বৌঠাকুরাণীর হাট, ১৮৮৩ সালে।
চ)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থ- ‘বিবিধপ্রসঙ্গ, ১৮৮৩ সালে।
ছ)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা প্রথম মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস- চোখের বালি।
জ)
প্রথম ছোট গল্প -ভিখারিনী
ঝ)
রবীন্দ্রনাথ এর প্রথম রচনা সংকলন –চয়নিকা
ঞ)
প্রথম কবিতা ও ১ম প্রকাশিত রচনা -হিন্দুমেলার উপহার।
ট)
প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস -বৌ ঠাকুরানীর হাট ।
২৯।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী গ্রন্থের নাম কী?
উত্তরঃ
‘জীবন স্মৃতি ও ছেলেবেলা”।
৩০।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ধ্বনিবিজ্ঞানের উপর লেখা গ্রন্থের নাম কী?
উত্তরঃ
‘শব্দতত্ত্ব’।
৩১।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কারাগারে বন্দিদের উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করেন ?
উত্তরঃ
‘চার অধ্যায়।
৩২।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাইট উপাধি পান কত সালে?
উত্তরঃ
১৯১৫ সালে । ত্যাগ করেন ১৯১৯ সালৈ ।
৩৩।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘গুরুদেব’ সম্মানে ভূষিত করেন কে?
উত্তরঃ
মহাত্মা গান্ধী।
৩৩।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘বিশ্বকবি’ সম্মানে ভূষিত করেন কে?
উত্তরঃ
ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়।
৩৪।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘কবিগুরু’ উপাধিতে ভূষিত করেন কে?
উত্তরঃ
ক্ষিতিমোহন সেন।
৩৫।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘ভারতের মহাকবি’ উপাধিতে ভূষিত করেন কে?
উত্তরঃ
চীনা কবি চি-সি-লিজন।
৩৬।
প্রশ্নঃ শান্তিনিকেতন থেকে নোবেল চুরি হয় কবে?
উত্তরঃ
২৪ মার্চ, ২০০৪ সালে।
৩৭।
প্রশ্নঃ বাংলা ছোটগল্পের জনক বলা হয় কাকে?
উত্তরঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ।
৩৮।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবার্ষিকীতে বহির্বিশ্বের প্রথম কোন দেশ তাকে নিয়ে ডাকটিকেট
প্রকাশ করে ?
উত্তরঃ
ব্রাজিল।
৩৯।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে চলচ্চিত্র করেছে কোন দেশ?
উত্তরঃ
চীন ।
৪০।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশ রবীন্দ্রনাথ কে নিয়ে ডাক টিকিট প্রকাশ করে কবে?
উত্তরঃ
৫০ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে, ৭ আগস্ট, ১৯৯১ সালে।
৪১।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ এর রাজর্ষি উপন্যাস কোন পত্রিকায় পকাশ হয় ?
উত্তরঃ
বালক পত্রিকা।
৪২।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ এর “উৎসর্গ” কি ?
উত্তরঃ
১ টি কাব্য গ্রন্থ ।
৪৩।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাসসমূহ কী কী ?
উত্তরঃ
উপন্যাসঃ গোরা শেষের কবিতার শেষ চার অধ্যায় লিখতে গিয়ে চতুরঙ্গের চোখের বালিতে পরিণত
হলেন। দুই বোন রাজর্ষি ও মালঞ্চকে ঘরে- বাইরে যোগাযোগ করে পেলনা বলে বৌঠাকুরানীর হাটে
খুঁজতে গিয়ে নৌকাডুবি হল। (১. গোরা, ২. শেষের কবিতা ৩. চার অধ্যায়, ৪. চতুরঙ্গ, ৫.
চোখের বালি, ৬. দুই বোন, ৭. রাজর্ষি, ৮. মালঞ্চ, ৯. ঘরে-বাইরে, ১০. যোগাযোগ, ১১.
বৌ ঠাকুরানীর হাট।
ক)
গোরা, চার অধ্যায়, ঘরে-বাইরে – রাজনৈতিক।
খ)
চোখের বালি- – বাংলা সাহিত্যের প্রথম মনস্তাত্বিক উপন্যাস।
গ)
শেষের কবিতা,চার অধ্যায় – বিশ্লেষণধর্মী উপন্যাস।
ঘ)
চোখের বালি, নৌকা ডুবি, যোগাযোগ, চতুরঙ্গ, মালঞ্চ – সামাজিক উপন্যাস।
ঙ)
রাজস্বী ও বৌ ঠাকুরানীর হাট – ঐতিহাসিক উপন্যাস |
৪৪।
প্রশ্ন: শেষের কবিতা সম্পর্কে লিখুন?
উত্তরঃ
১৯২৯ সালে প্রকাশিত শেষের কবিতা রবীন্দ্রনাথের রোমান্টিক, গীতিধর্মী, কাব্যধর্মী তথা
বিশ্লেষণধর্মী উপন্যাস। প্রবাসী পত্রিকায় এটি ছাপা হয় ১৯২৮ সালে। অমিত, লাবণ্য, কেতকী,
শোভনলাল এই উপন্যাসের প্রধান প্রধান চরিত্র। উপন্যাসের কয়টি লাইন -” ফ্যাশানটা হল মুখোশ,
স্টাইলটা হল মুখশ্রী; কালের যাত্রা ধ্বনি শুনিতে কি পাও?” গ্রহণ করেছ যত ঋণী করেছ তত
আমায় !”
৪৫।
প্রশ্নঃ চোখর বালি সম্পর্কে লিখুন?
উত্তরঃ
বাংলা সাহিত্যের প্রথম মনস্তাত্বিক উপন্যাস ‘ চোখের বালি ‘। ১৯০৩ সালে এটি প্রকাশিত
হয় । এই উপন্যাসে বাল্যবিবাহ বিনোদিনীর চিত্তে পুরুষের প্রতি দুর্নিবার আকাঙ্ক্ষার
জাগরণ ও তার মানসিক পরিবর্তনের টানাপোড়েন চিত্রিত হয়েছে। মহেন্দ্র, আশা, বিহারীও বিনোদিনী
এর প্রধান চরিত্র। এই উপন্যাসের মাধ্যমে বাংলা উপন্যাসের মনোবিশ্লেষণ মূলক নীতি সম্পূর্ণতা
লাভ করে।
৪৬।
প্রশ্ন: বউ ঠাকুরানীর হাট সম্পর্কে লিখুন ?
উত্তরঃ
রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ১৮৮৩ সালে প্রকাশিত হয় । বাংলাদেশকে আশ্রয় করে
রচিত উপন্যাসটিতে রাজা প্রতাপাদিত্যের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে । প্রদাপাদিত্য বসন্ত রায়,
উদারাদিপ্ত ও বিভা কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র। বঙ্কিমের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে উপন্যাস
রচনার প্রথম দিকে রবীন্দ্রনাথ এ ধরনের উপন্যাস রচনা করেছেন।
৪৬।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পের উল্লেখ কর।
উত্তরঃ
রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের বিষয়- বৈচিত্র্য অসাধারণ প্রেম ও প্রকৃতি তার গল্পের মূল উপাদান।
বাংলার নির্জন প্রান্ত, নদ-নদী, উমুক্ত আকাশ, বালুচর, অবারিত মাঠ, ছায়া সুনিবিড় গ্রামে
সহজ অনাড়ম্বর পল্লবী জীবন, অভাবক্লীষ্ট অথচ শান্ত সহিষ্ণু গ্রাম-বাসী ইত্যাদি সহজ-সরল
উপস্থাপনা তার ছোট গল্পগুলোকে করে তুলেছে অনবদ্য ।
তিনি
গল্প সরাসরি আরম্ভ করেন এবং মূহুর্তের মধ্যেই পাঠকের মনকে বর্ণনা স্রোতে মুগ্ধ করেন-
ঠিক অভিনব উপস্থাপকের মুখে বলা গল্পের আদলে গল্পের কাহিনী এগিয়ে যায় আঁকাবাকা ছোট নদীর
স্রোতের সহজ-স্বাচ্ছন্দ গতিতে। গল্পের বর্ণনায় মগ্ন পাঠক হয়ে যায় মুগ্ধ । এসকল কারণে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ছোটগল্পের জনক বলা হয়।
৪৭।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পে নারীব্যক্তিত্ব শিরোনামে কেমন শিল্প ফুটে উঠেছে?
উত্তরঃ
রবীন্দ্রনাথ তাঁর অনেক ছোটগল্পে পুরুষ চরিত্রের চেয়ে নারী চরিত্রকে অধিকতর উজ্বল করে
ফুটিয়ে তুলেছেন। যেমন- “হৈমন্তী” গল্পের হৈমন্তী, “দেনা – পাওনার “নিরুপমা ” একরাত্রিতে
” সুরবালী” সমাপ্তিতে মৃন্ময়ী, অপরিচিতায় কল্যাণী, ল্যাবরেটরিতে মোহিনী প্রভৃতি নারী
চরিত্র এ সব গল্পে মুখ্য হয়ে উঠেছে । এ সব ছোট গল্পে আমাদের সমাজের কুসংস্কার, নারীর
অধিকার, নারী বিদ্রোহ সহ নানাবিধ দিক উপস্থাপন করা হয়েছে।
৪৮।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ এর কোন উপন্যাসটি ছোট গল্পধর্মী ?
উত্তরঃ
নষ্টনীড়।
৪৯।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ এর কোন গল্পটি উপন্যাস ধর্মী?
উত্তরঃ
“চতুরঙ্গ” ।
৫০।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ এর কোন নাটকের প্রথম নাম ছিল পথ ?
উত্তরঃ
“মুক্তধারা”।
৫১।
প্রশ্নঃ “কালান্তর” রবীন্দ্রনাথ এর কি?
উত্তরঃ
ভারত বর্ষের রাজনৈতিক সমস্যা বিষয়ক প্রবন্ধের সংকলন।
৫২।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ এর সর্বশেষ গদ্যরচনা কোনটি?
উত্তরঃ
সভ্যতার সঙ্কট।
৫৩।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ এর বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্ত?
উত্তরঃ
বিশ্ব পরিচয়।
৫৪।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ এর চিরকুমার সভা কি ?
উত্তরঃ
১ টি কৌতুক নাটক ।
৫৫।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ এর আত্মজীবনী কোনটি ?
উত্তরঃ
“জীবনস্মৃতি “।
৫৫।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ এর নটির পূজা নাটকটি কন ধর্মের কাহিনী ?
উত্তরঃ
বুদ্ধ ধর্ম ।
৫৬।
প্রশ্নঃ “ মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ “ এটা কোন গদ্যরচনা এর লাইন?
উত্তরঃ
সভ্যতার সংকট।
৫৭।
প্রশ্নঃ ছিন্নপত্র কাঁকে লেখা চিঠি এর সমাহার –
উত্তরঃ
ভাতিজি ইন্দিরা দেবী।
৫৮।
প্রশ্নঃ “পঞ্চভূত”” রবীন্দ্রনাথ এর কি ?
উত্তরঃ
প্রবন্ধ গ্রন্থ ।
৫৯।
প্রশ্নঃ “সে” রবীন্দ্রনাথ এর কি ?
উত্তরঃ
গল্প গ্রন্থ।
৬০।
রবীন্দ্রনাথ ৪ টি পত্রিকা সম্পাদনা করেন, সেগুলো কী কী?
উত্তরঃ
সাধনা, ভারতি, বঙ্গদর্শন, তত্ত্ববোধনী ।
৬১।
প্রশ্নঃ মারা যাওয়ার পরে প্রকাশিত গ্রন্থ ?
উত্তরঃ
শেষ লেখা (১৯৪১) এবং ছড়া (১৯৪১)।
৬২।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যনাট্য গুলোর নাম কী?
উত্তরঃ
রবীর কাব্যনাট্যঃ
আমি
“রুদ্রচন্দ্র ” ও “মালিনী “কে বলব “রাজা ” ও “রানী”কে “বিসর্জন ” দিয়ে “প্রকৃতির প্রতিশোধ
” নিতে ।
৬৩।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নৃত্যনাট্য গুলোর নাম কী কী?
উত্তরঃ
রবীর নৃত্যনাট্যঃ
“চন্ডালিকা
” তুমি “চিত্রঙ্গদা “কে নিয়ে “শ্যামা “র চরনে “নটির পুজা ” দিয়ে আস।
৬৪।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যান্য নাটকসমূহ কী কী?
উত্তরঃ
রক্তকরবী, তাসের দেশ , ডাকঘর, বসন্ত, চণ্ডালিকা , চিরকুমার সভা , বৈকুন্ঠের খাতা, রাজা
, অচলায়তন, প্রায়শ্চিত্ত ইত্যাদি।
৬৫।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থসমূহের নাম কী কী?
উত্তরঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থঃ
“বিচিত্রতা
” নয় “চৈতালী ” ও “বলাকা ” “সোনার তরী “তে চড়ে “পুনশ্চ ” “সানাই ” বাজিয়ে “পরিশেষে
“মহুয়া “কে আমার হাতে তুলে দিলেন। প্রেম করে পালাতে গিয়ে ভয়ে তো আমার জ্বর চলে আসল।
কী ভাবছেন? এটা আমার কল্পনা? “কল্পনা” নয় ” “ক্ষনিক “এর জন্য “রোগশয্যা “থেকে “আরোগ্য
” লাভ করায়, “শ্যামলী “গাড়িতে করে “বনফুল ” থেকে মিষ্টি নিয়ে আমি শালিকা “সেঁজুতি”র
“জন্মদিনে” এসে তাকে “ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী ” উপহার দিলাম। এদিকে আমার “তীর্থযাত্রী
“শ্বশুর মেয়েকে না পেয়ে “পত্রপুটে ” “শেষলেখা ” লিখে আমাকে বললেন, যেন আমি আমাদের
“নবজাতক ” সন্তানকে নিয়ে “প্রান্তিক “গাড়ি বা “খেয়া”তে চড়ে তার সাথে দেখা করে আসি।
৬৬।
প্রশ্নঃ নষ্টনীড় কি?
উত্তরঃ
রবীন্দ্রনাথের উপন্যাসধর্মী ছোটগল্প।
৬৮।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ তার সাহিত্যকর্ম যাঁদের উৎসর্গ করেন….
উত্তরঃ
বসন্ত – কাজী নজরুল ইসলামকে,
তাসের
দেশ -নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে,
কালের
যাত্রা – শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়কে,
পূরবী
-ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোকে,
খেয়া
-জগদীশ চন্দ্র বসুকে।
৬৯।
প্রশ্নঃ অভিনেতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে কী জানেন?
উত্তরঃ
সাহিত্যের প্রায় সব জায়গায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোঁয়া রয়েছে। কবিতা,উপন্যাস, ছোটগল্প,প্রবন্ধ,
নাটক থেকে শুরু করে কিছুই যেন বাদ পড়েনি তার কলমের কালি থেকে। তিনি একজন অভিনেতা ও
ছিলেন। তিনি তাঁর লেখা প্রায় ১৩টি নাটকে অভিনয় করেন।
ক)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “বাল্মীকি প্রতিভা ” নাটকে স্বয়ং বাল্মীকির ভুমিকায় অভিনয় করেন।
খ)
রামায়নের কাহিনী অবলম্বনে রচিত “কালমৃগয়া “নাটকে তিনি অন্ধমুনির ভুমিকায় অভিনয় করেন।
গ)
“রাজা ও রানী ” নাটকে তিনি বিক্রমদেবের ভুমিকায় অভিনয় করেন।
ঘ)
অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত “বিসর্জন ” নাটকে তিনি ১৮৯০ সালে যুবক রবীন্দ্রনাথ বৃদ্ধ রঘুপতির
ভুমিকায় এবং ১৯২৩ সালে বৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথ যুবক জয়সিংহের ভুমিকায় অভিনয় করেন।
ঙ)
“বৈকুন্ঠের খাতা ” নাটকে তিনি কেদারের ভুমিকায় অভিনয় করেন।
চ)
“শারোদৎসব “নাটকে তিনি সন্ন্যাসীর ভুমিকায় অভিনয় করেন।
ছ)
“রাজা ” নাটকে রবীন্দ্রনাথা রাজা ও ঠাকুরদার যুগ্ম ভুমিকায় অভিনয় করেন।
জ)
“অচলায়তন ” নাটকে রবীন্দ্রনাথ অভিনয় করেন আদিনপুরের ভুমিকায়।
ঝ)
রবীন্দ্রনাথ অন্ধ বাউলের ভুমিকায় অভিনয় করেন “ফাল্গুনি ” নাটকে।
ঞ)
তিনি একইসাথে ঠাকুরদা, প্রহরী ও বাউলের ভুমিকায় অভিনয় করেন “ডাকঘর ” নাটকে
৭০।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষের কবিতায় কোন ভাষাবিদের নাম উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ
সুনীতি কুমার চট্টপাধ্যায়।
ডাউনলোড করতে এখানে কিক্ল করুন
0 coment rios: